রবিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান করোনা চিকিৎসা টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আজাদ।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তে রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. সাবেরা গুলনেহারকে ল্যাবের প্রধান করে চিকিৎসক, নার্সসহ ৩০ সদস্যের একটি টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের অনলাইনে ট্রেনিং চলছে। এছাড়া ল্যাব স্থাপনের জন্য যেসব টেকনিশিয়ান ও প্রকৌশলী ঢাকা থেকে আসবেন তারাও হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে ৬-৭ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে। প্রতিটি রিপোর্ট তৈরি করতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা। রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য অবজারভেশন ওয়ার্ডও গঠন করা হয়েছে। সেই ওয়ার্ড তত্ত্বাবধানের জন্য ডা. আজিজুল হক আজাদের নেতৃত্বে একটি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সবাই মিলে বসে কর্মপন্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সে অনুসারে সম্মিলিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান জানান, ইমারজেন্সি ও আউটডোরে হাঁচি, কাশি ও সর্দি নিয়ে আসা রোগীদের আলাদা করা হচ্ছে। করোনার উপসর্গ ছাড়া শ্বাসকষ্টসহ সর্দি-জ্বরের রোগী হলে তাদের ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হচ্ছে। আর করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ড ৩১ মার্চের মধ্যে খালি করা হবে। পরীক্ষার পর করোনা আক্রান্ত রোগী নিশ্চিত হলে তাদের সেখানে পাঠানো হবে। জটিল রোগীদের জন্য সেখানে আইসিইউ-এর ব্যবস্থাও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস, রামেকের অধ্যক্ষ ডা. নওসাদ আলীসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।